আপনি জানেন কি? মাশরুম সম্পূর্ণ হালাল।
অত্যন্ত পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও ঔষধি গুণসম্পন্ন ভেজিট্যাবল মিট
ইব্রাহীম মেডিকেল কলেজ জার্নালে প্রকাশিত ওয়েস্টার মাশরুম ব্লাড সুগার, কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড এর মাত্রা কমাতে কার্যকরী। যা ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
মাশরুমে আছে :
আমিষ : ২৫-৩০%
শর্করা : ৪-৮%
চর্বি : ৫-৬ %
ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশ : ৫৭-৮০ %
মাশরুমের উপকারিতা:
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
* ডায়াবেটিস ও মেদ কমাতে
* ক্যান্সার ও টিউমারে
* কিডনি ও এলার্জিতে
* কোলেস্টেরল, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ কমাতে
* শিশুদের মানসিক বিকাশে ও দেহ গঠনে সাহায্য করে।
* ব্রেইনের বিকাশ, বাত ও মেরুদণ্ডের ব্যথায়
* চুল পড়া চুল পাকা বন্ধসহ অন্যান্য সমস্যার কার্যকরী
* বয়স্কদের স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে সহায়তা করে
* আমাশয়ে ও পেটের পীড়ায়
* রক্তশূন্যতা দূরীকরণে
* হেপাটাইটিস-বি ও জন্ডিসে
* যৌন অক্ষমতায়
মাশরুম কিভাবে খাবেন ?
তাজা ওয়েস্টার মাশরুম : মাশরুম ফ্রাই, মাশরুম চপ, মাশরুম সিঙ্গারা, মাশরুম সমুচা, মাশরুম মাংস, মাশরুম মাছ, মাশরুম সবজি, মাশরুম স্যুপ, মাশরুম নুন্ডুলস, মাশরুম অমলেট, মাশরুম ফ্রাইড রাইস, মাশরুম বিরিয়ানী, মাশরুম রোষ্ট, মাশরুম রেজালা, মাশরুম কাবাব, মাশরুম কোফতা, মাশরুম চা ও কর্তা সহ মাশরুমের তৈয়ারী বিভিন্ন ধরনের ফাষ্ট ফুড জনপ্রিয় ও সু-স্বাদু খাবার। যে কোন আইটেমের সাথে মাশরুম মিশিয়ে রান্না করলে উহার স্বাদ বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।
শুকনা অয়েস্টার মাশরুম: রান্নার পূর্বে ৫ মিনিট গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে তাজা মাশরুমের মত রান্না করে খাওয়া যায়।
পাউডার ওয়েস্টার মাশরাম: গরম পানি, দুধ, চা, কফি, হরলিক্স ইত্যাদি সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। যে কোন ভর্তা, তরকারী ও সবজিতে হলুদ মরিচের ফাঁকির ন্যায় ব্যবহার করা যায়। আটার খামিরের সাথে মিশিয়ে রুটি, পিঠা ইত্যাদি খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
পাউডার বা স্লাইসকৃত মাশরুম: ঋষি মাশরুম বান্না করে খাওয়া যায় না, এটাকে ঔষধি মাশরুম বলা হয় ।৩-৬ গ্রাম পরিমাণ পাউডার বা স্লাইসকৃত মাশরুম ১ গ্লাস পানিতে রাতে ভিজিয়ে রেখে সকালে কমিয়ে জাল দিয়ে আধা গ্লাস পরিমান লেবু, কমলা বা মাল্টার রস মিশিয়ে খাওয়া যায়।